সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গ্র্যান্ড মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত এম.এ মান্নান ম্যামরিয়াল স্কলারশীপের মেধা বৃত্তি প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ময়মনসিংহে সড়কে ট্রাফিক ব‍্যবস্থাপনায় কাজ করবেন ৬০ শিক্ষার্থী জমকালো আয়োজনের জান ই আলম সরকার স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস পার্টির -২০২৪ টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ জাতির কাছে এখন পর্যন্ত আ.লীগ ক্ষমা চাননি: এ্যানি রায়পুরে বাড়ছে সুপারি উৎপাদন ঝালকাঠিতে অনলাইন জুয়ার নেশায় মত্ত তরুণ-যুবকরা, প্রতিকার চায় সচেতন মানুষ কেশবপুরে মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষে বাম্পার ফলন
দিনমজুরি করেও জিপিএ-৫, এখন দুশ্চিন্তা

দিনমজুরি করেও জিপিএ-৫, এখন দুশ্চিন্তা

মাহমুদ হাচান, শিশু সাংবাদিক: অদম্য মেধাবী ইয়াকুব আলী। সংসার ও লেখাপড়ার খরচ জোগাতে ইয়াকুব করেছে দিনমজুরি। এভাবেই বিভিন্ন প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে বিজ্ঞান জিপিএ-৫ পেয়েছে। এই সাফল্যেও তার মুখে হাসি নেই, নতুন করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার পরিবারে।
ছেলের উচ্চশিক্ষার টাকা জোগাড় কোথা থেকে করবেন, এখন সেই দুশ্চিন্তায় হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা-মা। ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। এবার খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছে জিপিএ-৫। ইয়াকুব আলী জানান – আমি দিনমজুরি করে লেখাপড়া করছি। এবার এসএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার স্বপ্ন আমি একজন প্রকৌশলী হবো। কিন্তু আমার পরিবার আর্থিক ভাবে অসচ্ছল। আর্থিক সমস্যার জন্য এখন আমার পরবর্তী শিক্ষাজীবনই অনিশ্চিত ।
ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন – আমার নিজস্ব বসতজমি নাই,অন্যের জায়গায় বাড়ি করে আছি। ভ্যান চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাই। আমার ছেলের লেখাপড়া প্রবল আগ্ৰহ থাকলেও, আমার সামর্থ্য নেই ছেলেকে ভালো কলেজে পড়ানোর। এলাকাসী জানান – ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ইয়াকুব। তার পরীক্ষার ফলাফলে এলাকাবাসী খুশি হলেও তার বাবা-মায়ের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। দিনমজুরি করেও অদম্য উৎসাহ নিয়ে সে এতদিন পড়ছে। আর্থিক সহযোগিতা পেলে মেধাবী এ ছেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন – আর্থিক অভাব-অনাটানের মধ্যে দিয়েও পড়াশোনা করছে ইয়াকুব। এমন‌ও দিন ছিলো না খেয়ে স্কুল এসেছিল। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন – ইয়াকুব কে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কালীন আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তী লেখাপড়া চালার জন্য প্রয়োজনে আর‌ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |